ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ার পর জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের পর এই নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া যাঁরা আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ট্রানজিট নিয়ে দেশে আসবেন তাঁদের স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যেসব নির্দেশনা দেওয়া হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা প্রত্যেককে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হবে।’
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশেও এসব দেশ এবং যেসব দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আগমন বন্ধ করার সুপারিশ করা হচ্ছে। কোনো ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (বিগত ১৪ দিনে) ইতিহাস থাকলে তাদের বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোভিড-১৯ এর টেস্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশন করতে হবে। প্রতিটি পোর্ট অব এন্ট্রিতে স্ক্রিনিং, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল-কলেজসহ), চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করার সুপারিশ করা হলো।