বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় চলতি বছর মে থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত ছোট-বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ গাছ ঝড়ে উপড়ে গেছে। তবে এর হিসাব নেই বন অফিসের কাছে। তদারকির অভাবে কিছু গাছ রাস্তার পাশে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। আবার বেশির ভাগ গাছই এলাকার প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
বগুড়ার শেরপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। উপজেলা বন অফিস নামে পরিচিত। এটি সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু জনবলের সংকট, আর্থিক বরাদ্দের অভাবে নিজেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
এদিকে শেরপুর উপজেলায় বন বিভাগের অধীনে রাস্তা রয়েছে মোট ২৮৮ কিলোমিটার। ’৯৩-৯৪ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির ২ লাখ ৮৮ হাজার গাছের চারা লাগানো হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু, ইউক্যালিপটাস ও মেনজিয়াম গাছের সংখ্যাই বেশি। এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ গাছ বন্যা, খরা, ঝড়, রোগবালাইসহ বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মন।
উপজেলা বন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সেখানে একজন ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা, দুজন মালি ও একজন নৈশপ্রহরী কর্মরত আছেন। সম্পদের মধ্যে রয়েছে চারটি মোটরসাইকেল, দুটি বাইসাইকেল ও গাছ কাটার দুটি বৈদ্যুতিক করাত। এগুলোর একটিও সচল নেই। মেরামতের অভাবে পড়ে আছে অফিসের স্টোররুমে।
বন কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মন বলেন, ‘ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কেউ গাছ লাগাক না কেন, সরকারি অনুমোদন ব্যতীত গাছ কাটার সুযোগ নেই। কিন্তু আমার এই অফিসে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার কোনো জনবল নেই। এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কোনো যানবাহন নেই। যাতায়াত খরচের জন্য অফিসের কোনো বরাদ্দও নেই। এই ২৮৮ কিলোমিটার রাস্তা তো হেঁটে ঘোরা সম্ভব না।’
এ বিষয়ে বগুড়ার সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও উত্তর দেননি।