পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার এক কৃষক মাঠপর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন। এতে তিনি যেমন আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন, তেমনি এলাকার সাধারণ কৃষকেরা উন্নতমানের বীজ হাতের কাছে পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।
ওই কৃষকের নাম মো. দুলাল মৃধা। তিনি উপজেলার আটঘরিয়া পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহায়তায় এ উন্নতমানের বীজ উৎপাদন করছেন তিনি।
জানা গেছে, মো. দুলাল মৃধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তি নেওয়া মাধ্যমে নিজস্ব ১০ বিঘা ও বন্ধক নেওয়া ৩ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেন। এসব জমি থেকে উৎপাদিত ফসল আধুনিক উপায়ে সংরক্ষণ করে বীজ হিসেবে প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে বিক্রি করেন।
কৃষক মো. দুলাল মৃধা বলেন, তাঁর নিজের নয় বিঘা জমিতে চলতি রোপা আমন মৌসুমে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধান-৮৭ এবং বিনা-১৭, ২২ জাতের প্রদর্শনী প্লট করেছেন। এই জমি থেকে পাওয়া ধান আধুনিক উপায়ে সংরক্ষণ করে কৃষক পর্যায়ে বীজ হিসেবে বিক্রি করা হবে।
মো. দুলাল মৃধা আরও বলেন, এ মৌসুমে তিন বিঘা জমি বন্ধক নিয়ে শিম ও বারি-৩ জাতের মাষকলাইয়ের চাষ করেছেন। সেখান থেকে বীজ উৎপাদন হলে প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে তা বিক্রি করবেন তিনি।
এলাকার সাধারণ কৃষক মো. নূর হোসেন বলেন, কৃষক দুলাল মৃধার কাছ থেকে সহজেই বীজ পাওয়া যায়। যা কিনতে আগে শহরে যেত হতো। ভালো বীজ পাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। এলাকায় বীজ পাওয়া যায়।
উত্তরচক গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, এ ধরনের কৃষকদের সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা ও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের মান উন্নয়ন করা অনেক সহজ হবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, কৃষক মো. দুলাল মৃধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেন। কৃষি কর্মকর্তারা তাঁর বীজ উৎপাদনে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ বলেন, কৃষক মো. দুলাল হোসেন মাঠপর্যায়ে আইপিএম ও আইএফএমের প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন দক্ষ কৃষকে রূপান্তর হয়েছে। তিনি হাজীপাড়া আইএফএম কৃষক মাঠ স্কুলের সভাপতি। তিনি এখন ওই এলাকার কৃষকদের সংগঠিত করায় ভূমিকা পালন করেন।