করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক ধরন ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। গত রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানায় অধিদপ্তর। এদিকে, ওমিক্রন প্রতিরোধে করণীয় ঠিক করতে আজ মঙ্গলবার সভা ডেকেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১৫ দফা ওই নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে এমন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে, সব ধরনের জনসমাগম নিরুৎসাহিত, প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে প্রত্যেককে সার্বক্ষণিক সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম গ্রাহককে একই সময়ে খাবার পরিবেশন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল, থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কমসংখ্যক লোক অংশগ্রহণ, মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা, আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি, সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সার্বক্ষণিক সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা, করোনার উপসর্গযুক্ত সন্দেহভাজন ও শনাক্ত রোগীর আইসোলেশন ও করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা ও সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সহায়তা করা, কর্মস্থলে প্রবেশ ও অবস্থানকালে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালানোর কথাও বলা হয় ওই নির্দেশনায়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই প্রচারণায় সম্পৃক্ত হতে পারেন বলে নির্দেশনায় বলা হয়।