মির্জাপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। গত সোমবার রাতে উপজেলার পাকুল্যা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার লুৎফুর রহমান (৪০) উপজেলার চিতেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গতকাল মঙ্গলবার কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে লুৎফুর রহমান তাঁর সহকর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি ওই নারীকে ফুসলিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন। গোপনে সেই দৃশ্য ফোনের ক্যামেরায় ধারণ ও ছবি তুলে রাখেন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় প্রায় ২০ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন লুৎফুর।
এতে ওই নারী মানসিকভাবে চাপের মুখে পড়েন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী টাঙ্গাইলের র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে র্যাবের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পাকুল্যা থেকে লুৎফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
কোম্পানি কমান্ডার আরও বলেন, এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভিডিও ও ছবি, একটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ ও নগদ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। লুৎফুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার মাধ্যমে ওই নারীকে ধর্ষণ ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, মামলার পর গ্রেপ্তার যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।