সামনেই ২১ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই আছে বসন্তবরণ ও ভ্যালেন্টাইনস ডে উৎসব। এ সবকিছু মিলিয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ফুল বাজারে বেচাকেনা জমে উঠেছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ফুলচাষি, পাইকার ও শ্রমিকেরা।
আগৈলঝাড়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক হারে ফুল চাষ হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছর মৌসুমের শুরু থেকেই ফুলের চারার ভাসমান হাট বসে। শীত ও বর্ষায় উপকূলীয় এলাকাগুলোর হাটবাজারে বিকিকিনি হয় এ হাটের ফুলের চারা।
উপজেলা সদরে গাছ ও ফুল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, নেছারাবাদ উপজেলার অলংকারকাঠী ও সংগীতকাঠীতে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুলের চারার নার্সারি। সেখান থেকে গাঁদা, গোলাপ, জিনিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ ২০-২৫ জাতের ফুলের চারা বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করা হয়। তবে বেশি বেচাকেনা হয় ভাসমান হাটে। প্রতি শীত মৌসুমে হাটে লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, ইতিমধ্যে ফুলের দোকানগুলো বাসন্তি, হলুদ গাঁদাসহ বিভিন্ন ফুলে ভড়ে উঠেছে।
এবারের বসন্তে দারুণ উপহার নিয়ে এসেছেন ফুলচাষিরা। গত তিন মাস ধরে নিবিড় পরিচর্যায় কৃষকেরা প্রকৃতিকে ভরিয়ে দিয়েছেন গ্লাডিওলাস ফুলের সৌন্দর্যে। ফুলের এ মৌসুমেই গ্লাডিওলাসের প্রতিটি স্টিক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।
বৈশাখী নার্সারির মালিক শাহাদাত হোসেন জানান, এক একর জমিতে গাঁদা, জিনিয়া, গ্লাডিওলাস, গোলাপসহ শীত ও গ্রীষ্মকালীন ফুলের চাষ করছেন।
পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতিদিন নানা জাতের ফুলসহ চারা কিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন।