চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জোর করে তুলে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ব্যবহার করে হুমকি দিয়েছিলেন সদ্য পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। অপরাধমূলক কাজে এভাবে বাহিনীর নাম ব্যবহার করায় জেরার মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অন্য কোনো বাহিনীর কথা বলব না। যেহেতু তিনি (মুরাদ হাসান) ডিবির কথা উল্লেখ করেছেন, প্রয়োজনে তাঁকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। জানতে চাওয়া হবে তিনি কেন গোয়েন্দা সংস্থার নাম বললেন।’
গত দুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়। সেখানে শোনা যায়, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে যেতে বলছেন মুরাদ হাসান। যদি মাহি নিজ ইচ্ছায় সেখানে না যান, তাহলে দেশের কয়েকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে তুলে আনার হুমকি দেন তিনি। সেই অডিওতে চিত্রনায়ক ইমনের কথাও শোনা যায়।
সোমবার বিকেলে ইমন স্বীকার করেন, ভাইরাল হওয়া এই অডিও ক্লিপটি সঠিক। তিনি জানান, অপর প্রান্তে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তবে এ ঘটনা দেড় বছর আগের।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাদের জেরা করার বাহিরেও সার্বিক বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে ডেকে এনে জেরা করা হয় চিত্রনায়ক ইমনকে। গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি মোবাইল থেকে অডিওটি ছড়িয়েছিলেন কি না? সেখানে উপস্থিত থাকা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপটির বিষয়ে ইমনের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নানা ধরনের কথা জানিয়েছেন। তাঁকে দেড়-দুই ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব সদর দপ্তর থেকেও ইমনকে ডাকা হয়। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাতেই ইমনকে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব।