মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়নে অন্তত ৫০ বছরের পুরোনো একটি কাঁচা রাস্তা কেটে ফেলার কাজ চলছে। উপজেলার রোহিতা মীরপাড়ার আলম মীর ও তাঁর স্বজনেরা শ্রমিক দিয়ে দুদিন ধরে রাস্তাটি কাটার কাজ করাচ্ছেন।
দুই গ্রামের সংযোগ স্থাপন করা দীর্ঘদিনের পুরোনো রাস্তা কেটে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। বন্ধ হয়েছে ২০-২৫টি পরিবারের ঘর থেকে বের হওয়ার পথ।
মনিরামপুর-ঝিকরগাছা পাকা সড়কের রোহিতা নওশেরের মোড় থেকে শেখপাড়ার মীর পাড়ার সংযোগ স্থাপন করেছে এ রাস্তা। এ পথ দিয়ে কৃষকেরা মাঠের ফসল ঘরে তোলেন। জলকর রোহিতা ও শেখপাড়ার মানুষের যোগাযোগ স্থাপন এবং রোহিতা সরকারি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথ এটি।
যারা রাস্তা কাটছেন তাঁদের দাবি, রাস্তাটি মূলত ব্যক্তি মালিকানাধীন মাছের ঘেরের পাড়। এ রাস্তা কেটে পাশ দিয়ে নতুন করে বেঁধে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী বাবর আলী বলেন, ‘মনিরামপুর-ঝিকরগাছা পাকা সড়কের দক্ষিণ পাশ লাগোয়া জলকর রোহিতা এলাকায় কয়েকটি মাছের ঘের রয়েছে। ঘেরের দক্ষিণপাড়ে আমাদের ২০-২৫টি ঘরের বসবাস। রাস্তাটি একমাত্র আমাদের বের হওয়ার রাস্তা। শেখপাড়ার মীর পাড়া হতে পাকা রাস্তা পর্যন্ত দেড় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটির পুরোটাই মালিকানাধীন ছিল। পুরো রাস্তা সরকারিভাবে রেকর্ড হয়েছে। বাকি ১০০-১৫০ গজ রাস্তা মালিকানাধীন রয়ে গেছে। নওশের মীর ও বাকের আলীদের দুই ঘেরের মাঝখানের পাড় বহু বছর ধরে রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
স্থানীয়রা বলছেন, ৫০-৬০ বছর ধরে ঘেরের পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এটি রাস্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখন রাস্তা কেটে ফেলায় আমরা খুব ভোগান্তিতে আছি।
রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, ‘রাস্তাটি মূলত ঘেরের পাড় হলেও ৫০-৬০ বছরের পুরোনো হওয়ায় সাধারণ মানুষ এটিকে সরকারি রাস্তা হিসেবে জানেন।’
ঘের মালিক আলম মীর বলেন, ‘আমাদের ঘেরের পূর্বপাশের ঘেরে আমরা ৪ ফুট মতো জায়গা পেয়েছি। পাড় না কটলে ওই জমিটুকু কাজে আসবে না। আমরা রাস্তা কেটে পূর্বদিকে বেঁধে দিচ্ছি।’
রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব জাহিদুল ইসলাম লিপটন বলেন, ‘আমি সরেজমিন খোঁজ নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’