হোম > ছাপা সংস্করণ

কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষ, রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ আহত ১২

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় কৃষকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে বন বিভাগ। গতকাল শনিবার মধুপুর বনাঞ্চলের ফুলবাগচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুই শতাধিক নারী-পুরুষকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, মধুপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দোখলা রেঞ্জের চাঁদপুর বিটের ফুলবাগচালা এলাকার বনের জমিতে চাষাবাদ করেন স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁরা বনের পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আনারস, কলাসহ নানা ফসল আবাদ করে থাকেন। গতকাল সকালে সেসব জমির কলাগাছ কেটে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা লাগানো শুরু করে বন বিভাগ। এতে বন কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, সিএফডব্লিউসহ শতাধিক লোক অংশ নেন। কিন্তু চোখের সামনে তৈরি ফসল ধ্বংস হতে দেখে দলবদ্ধভাবে বাধা দেন কৃষকেরা। এতেই বাধে সংঘর্ষ। এ ঘটনায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুশতাধিক নারী-পুরুষকে আসামি করে বন বিভাগের পক্ষ থেকে মধুপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন চাঁদপুর বিটের বিট কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. লুৎফর রহমান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বন ধ্বংস করে জায়গা দখল করে চাষাবাদ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এর মধ্যে অনেকেই বনের জায়গা লিজ দিয়ে থাকেন। সেই জায়গায় ২০২০-২১ সালে বনায়ন করা হয়েছিল। সেখানে সাইনবোর্ড থাকা সত্ত্বেও গাছ কেটে ফসল আবাদ করছেন দখলদারেরা। তাই ওই জায়গায় পুনরায় বনায়ন করার জন্য চারা রোপণ করা হচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা চারদিক দিয়ে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ফরেস্টারসহ আটজন আহত হয়েছেন।

এদিকে ফুলবাগচালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সামিউল আলম মজনুসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন বিভাগ বনায়ন করলে তাঁরা সহযোগিতা করবেন। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধিকে না জানিয়ে এমনকি কৃষকদের অবহিত না করে হঠাৎ করেই ফসল ধ্বংস করা হচ্ছে। উচ্চ মূল্যে সার, চারা কিনে শ্রম দিয়ে তৈরি এই কলাবাগান কাটতে দেখে কৃষকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে বাধা দিয়েছেন। এ সময় বন কর্মকর্তারা চারটি গুলি ছুড়েছেন। এতে স্থানীয় চারজন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ফরেস্টার লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা বনায়ন করতে গিয়েছিলাম। দুশতাধিক নারী-পুরুষ দা, লাঠি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফরেস্টার ইসমাইল হোসেন তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।’

মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রেজাউল করিম রেজা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে বন কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। বন কর্মকর্তারা তাঁদের আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন