মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সাহিদা আক্তার সুলতানা (৩০) হত্যা মামলা পুনঃ তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদীর দাখিল করা নারাজির শুনানি শেষে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক এই নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি গোপাল দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার দাসেরবাজার ইউপির পানিশাইল গ্রামে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জয়নাল উদ্দিনের (৬০) বাংলোর একটি কক্ষে সাহিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জয়নাল উদ্দিন ঘটনার পর গাঁ ঢাকা দেন। পরে জানা যায়, জয়নাল উদ্দিন দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য পালিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সাহিদার বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রাইয়াপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রব্বান মিয়ার মেয়ে। জয়নাল উদ্দিনের সঙ্গে সাহিদার মুঠোফোনে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর জয়নাল সাহিদাকে বিয়ে করেন। তবে জয়নাল উদ্দিন দাবি করেন, সাহিদার সঙ্গে তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। আর সাহিদা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
এ ঘটনায় সাহিদার বাবা রব্বান মিয়া জয়নাল চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান লিপু, সোয়া মিয়া ও রহমত আলীকে আসামি করে বড়লেখা থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত বছরের ৯ মার্চ এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ পান। তিনি জয়নাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। গত রোববার দুপুরে শুনানি হয়। পরে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন আদালত।