কুয়াশা ও শীতে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় লতা থেকে ঝরে পড়ছে পান। অনেক বরজে পানশূন্য লতা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে চাষিদের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি, উপজেলায় বেড়েছে পানের দাম।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন যাবৎ কুয়াশায় পান বরজের লতা থেকে পান ঝরে পড়ছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা, টেমার, নাঘার, দিঘীবালি, হাওলা, বাকাল, রাজিহার, ফুল্লশ্রী, যবসেনসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই পান বরজে লতা থেকে পান ঝরে পড়ছে বলে চাষিরা জানান। তবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান ক্ষতির কোনো হিসেব চাষিরা অফিসে জানাননি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াশা ও শীতের কারণে পান গাছের পাতায় কালো দাগ ও হলুদ রং ধরেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে পান পাতা। সেই সঙ্গে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে পান। কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শে পান গাছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান চাষিরা। আবার এসব পান বিক্রি করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন পান চাষিরা।
গৈলা গ্রামের পান চাষি রাজিব আকন বলেন, ‘এবার ২০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ করেছিলাম। কিন্তু তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে পান গাছে রোগ বালাই হয়ে পুরো পানের বরজ শেষ হয়ে গেছে। বন্যায় একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারও পানের বরজ ঠিক করলাম, এখন আবার শীতে আমাদের পানের বরজের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, কুয়াশা ও শীতের কারণে পানে সাধারণত ছত্রাকজনিত সমস্যা হয় যেমন. পানে দাগ পড়ে ও গোড়াপচা রোগ হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেওয়ায় গাছ থেকে পান পাতা ঝড়ে পরে। কিছু পান বরজে ছত্রাকজনিত কালো দাগ হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষি কার্যালয় থেকে নিয়মিত কৃষকদের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।