গত শুক্রবার সকালে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, রাজশাহী বোর্ডের অধীনে বিভাগের আট জেলায় এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ জন এবং ছাত্রী ৯৫ হাজার ৬৫ জন। এবার বিজ্ঞান শাখায় ৮৭ হাজার ৬৮৪ জন, মানবিক শাখায় ৯৯ হাজার ৫৮২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৯ হাজার ৩৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।
এসএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধিত মোট শিক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জন। তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৫১ জন। বাকি ২৯ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেনি। তারা ঝরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ২৭০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ২ হাজার ৬৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
প্রতিটি জেলা থেকে কেন্দ্রসচিবেরা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। তাঁদের বক্তব্যে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কারিগরি সমস্যার বিষয়টি উঠে আসে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এসব বিষয়ে কেন্দ্রসচিবদের দিকনির্দেশনা দেন।
করোনা মহামারির সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নানামুখী সমস্যায় ছিল উল্লেখ করে সভায় বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া কক্ষ পরিদর্শকেরা যেন পরীক্ষাকক্ষে উচ্চ স্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন, বকাঝকা না করেন, এসব বিষয় বিশেষভাবে নজর রাখার জন্য তিনি কেন্দ্রসচিবদের পরামর্শ দেন। পরীক্ষাকক্ষে এ ধরনের আচরণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রসচিবদের অনুরোধ করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক হুমায়ূন কবীর। সভা সঞ্চালনা করেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মুঞ্জুর রহমান খান।
উল্লেখ্য, ১৯ জুন থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। রাজশাহী বোর্ডে গত বছরের তুলনায় এবার নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে ১০ হাজার ৯৬৮ জন পরীক্ষার্থী কম।