নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মেঘনা নদীর জোয়ারে কালভার্টের পাটাতন খসে গেছে। পলেস্তারা ভেঙে বেশকিছু অংশ খালে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া কালভার্টের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী।
চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জাহাজমারা-ছেউয়াখালী সড়কটি প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। ১২ বছর আগে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এই খাল মেঘনা নদীর শাখা লক্ষ্মীপুরের ভুলুয়া খালের অংশের সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে খালে নদীর জোয়ার-ভাটার পানি এই খালে প্রবাহিত হয়।
সম্প্রতি উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নম্বর জাহাজমারার পশ্চিম এলাকার ওই সড়ক ও কালভার্টটি ঘুরে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরবসু আর সুবর্ণচরের জাহাজমারা এলাকার কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম এই কালভার্ট।
জনবহুল এই কাঁচা সড়কের কালভার্টটির দুই পাশের সড়ক ভেঙে গেছে। ফলে যানবাহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
ছেউয়াখালী বাজারের ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন বলেন, সড়কটি সুবর্ণচর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এই সড়ক দিয়ে লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে সংযোগ চরবসু ও ছেউয়াখালী বাজার ছাড়াও জেলা শহরের মাইজদি সোনাপুর দাপ্তরিক কাজে যাতায়াত করেন। স্থানীয় চরহাসান ভূঁইয়ার হাটবাজার থেকে প্রতিদিন কৃষিপণ্য ট্রলি-পিকআপ ভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নেওয়া হয়।
কাঁচা সড়কটির কালভার্টটি ভেঙে খালে বিলীন হয়ে গেলে দুই জেলার মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে কৃষক ও জেলেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি নবনির্বাচিত হয়েছেন। আগের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম কোনো রাস্তা-ঘাট ও কালভার্টের আইডি খোলেননি। সবগুলোর নতুন আইডি খুলে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বেহাল জনপদের রাস্তাঘাট ও কালভার্টের কাজ করানো তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জ।
সুবর্ণচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) প্রকৌশলী মো. শাহজালাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়ক ও কালভার্ট ভেঙে হুমকির মুখে পড়ার বিষয়টি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে জানানো হয়েছে। শিগগির সড়ক ও কালভার্ট সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।