তেলসহ ময়দা, চিনি, ডালডা, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে হোটেল, রেস্তরাঁর খাবারে। কয়েক মাসে ধরে দফায় দফায় এসব খাবারের উপকরণের দাম বাড়ায় রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ ক্ষতি পোষাতে কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। তাঁরা দাম ঠিক রেখে পণ্যের মান কমিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্রেতারা ।
মাগুরা জেলায় রয়েছে শতাধিক ছোট-বড় খাবার হোটেল। এগুলোর মধ্যে শহর এলাকায় কয়েকটি দোকান খাবার তৈরিতে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে। শহরতলির ভায়না, ঢাকা রোড, চৌরঙ্গী মোড় থেকে নতুন বাজারর এলাকায় মূলত বড় খাবারর দোকানগুলো।
এসব খাবারের দোকানে গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, সকালে পরোটার সঙ্গে ভাজি ও ডাল খাওয়ার ক্রেতার ভিড়। ভায়না এলাকার সান্ত্বনা হোটেলে সেলিম মিয়া নামে এক ভোক্তা বলেন, কাজে যাওয়ার আগে এই হোটেলে প্রতিদিন খাই। আগে যেমন দু্টই পরোটা খেলে পেট ভরত, এখন একই দামে এই পরোটা ৫টা খেলেও পেট ভরছে না।
শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে জলখাবার হোটেলে সকালের নাস্তা করতে আসা কামাল হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আগে ২০ টাকায় ভালো নাশতা করতে পারতাম। এখন ৫০ টাকায়ও নাশতা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মাগুরা হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ঝন্টু খান বলেন, ২২ বছর আগে সেটা ২০০০ সালে সিঙ্গারা, সমুচা ও পরোটার দাম ৩ টাকা থেকে পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই দুই যুগ প্রায় এই দামে চলেছে। কিন্তু এসব বানাতে উপকরণসহ শ্রমিক, দোকানভাড়া বিদ্যুৎ বিলসহ গ্যাসের দামও বাড়তি। তাহলে কীভাবে আমরা এসবের আক্রতি বড় করব বলেন? কিছু না পোষালে তো ব্যবসা গুটাতে হবে সবার।
মাগুরা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা মামুন হোসেন জানান, মাগুরা হোটেল মালিক সমিতি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পরোটা, সিঙ্গারা ও সমুচার দাম পাঁচ টাকা থেকে ১০ টাকা করা প্রসঙ্গে। গত বছর ডিসেম্বরে এটা তাঁরা প্রথম দাবি করে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে ত্রেতারা। তাঁরা দাম আগেই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ জন্য প্রশাসন থেকে তাঁদের ডেকে দাম আগের মত নিতে বলা হয়। এরপর দেখেছি এগুলার সেই আকৃতি আর নেই। খুবই ছোট করে তৈরি করছে। দাম বাড়ানোর আরেক দাবি তাঁরা সপ্তাহ খানিক আগে করেছিলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষে নিত্য এই খাবারের আকার ছোট হোক কিন্তু দাম বাড়ানো যাবে না বলে আমরা মতামত দেই।