Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী বর্ধিত সভায় সাংসদ দুর্জয়

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী  বর্ধিত সভায় সাংসদ দুর্জয়

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের সাত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন সামনে রেখে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী বর্ধিত সভায় অংশ নিয়েছেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শিবালয় উপজেলার অক্সফোর্ড একাডেমির সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম খান ভুনু, শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলার সাত ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।

শিবালয়ের সাত ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল, মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে।

নির্বাচনী বর্ধিত সভায় নাঈমুর রহমান দুর্জয় উপস্থিত প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দলের নেতা-কর্মী এবং আরও যাঁরা প্রার্থী ছিল তাঁদের সঙ্গে নিয়ে ভোট চাইতে যাইবেন। আপনি একবার যাবেন, আর তাঁদের বারবার পাঠাবেন। ভোটারদের কাছে যত বেশি যাবেন, প্রার্থীদের প্রতি ভোটারদের দুর্বলতা তত বাড়বে। দলের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইবেন।’

নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের এলাকায় নারী ভোটার বড় ফ্যাক্টর। তারা ধানের শীষ ছাড়া কিছু বুঝতে চায় না। নারীদের ভোটের মাঠে নামাতে হবে। সময় খুব বেশি নেই।’

সাংসদ দুর্জয় বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারটা আগামীকালের মধ্যে করতে হবে। কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীর যদি কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে, সেটা প্রার্থীর মেটানো উচিত। কারণ তাঁদের তো প্রার্থিতার জন্য ফিল্ডে যথেষ্ট খরচ হয়েছে।’

দুর্জয় বলেন, ‘আমার একটা আহ্বান- নির্বাচন নির্বাচনের মতো করবেন। মনে করবেন না যে নৌকা আসছে আর আমি হয়ে গেছি। নমিনেশন পাওয়ার আগে একেকজন সিংহের মতো ঘোরেন, আর নৌকা পাওয়ার পর দেখি বিড়ালের মতো। এগুলো কিন্তু দেখতে ভালো লাগে না। আগে বলেন, আমার ৫০-৬০ লাখ (টাকা) কোনো ব্যাপার না। আর নমিনেশন পাওয়ার পর কর্মীরা বলে ঠিকমতো জোগান দেয় না।’

নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমি শুধু বলব নৌকা হারলে জননেত্রী শেখ হাসিনা হারবেন। এই নৌকা হারলে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হারবে। সেইটা আমাদের এলাকায় যেন না হয়। নির্বাচন নির্বাচনের মতো করেন। ইজ্জতের মায়া কইরেন, টাকার মায়া কইরেন না। পরে কিন্তু আফসোস করে কূল পাবেন না।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আজ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনী বর্ধিত সভা হওয়ার কথা না। নির্বাচনী বর্ধিত সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’

মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এই ধরনের সভা করা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে এগুলো দেখার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের বিষয়টি দেখার কথা। আমি আপনার কাছে শুনেছি। পরবর্তী সময়ে এই ধরনের সভা না করতে পারে, তার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

নির্বাচনী বর্ধিত সভার ব্যাপারে সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমি জানি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া যাবে না। নির্বাচনী বর্ধিত সভায় অংশ নেওয়া যাবে না—এমনটা আমার জানা নেই।’

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এই সময়ে প্রার্থীদের নিয়ে সাংসদের নির্বাচনী বর্ধিত সভা করার কথা নয়। বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ