গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চল খালি করতে চাইছে ইসরায়েল। এ জন্য দেইর এল-বালাহের কাছে তুমুল বোমাবর্ষণ করেছে দেশটির বাহিনী। নুসেইরাত, মাঘাজি ও বুরেজি আশ্রয়শিবিরেও হামলা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার কেন্দ্রাঞ্চলে নির্বিচার বোমাবর্ষণ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও সাঁজোয়া যান গাজার কেন্দ্রে আরও অগ্রসর হচ্ছে, বিশেষ করে আজ-জাওয়াদিয়ার আশপাশে। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত গতকাল বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা হামলাসহ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চলবে। গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এর আগে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আখ্যা দেওয়া ‘নিরাপদ জোনে’ হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
আগের দিন গাজার আল-মাওয়াসি ভূখণ্ডে ইসরায়েল হামলা করেছিল। ভূখণ্ডটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের চেয়েও ছোট। গত মাসে এটিসহ গাজার কয়েকটি অঞ্চলকে ‘নিরাপদ জোন’ বলে আখ্যা দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বলেছে, উপত্যকাটিতে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৬২ জন নিহত হয়েছে। এতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৬০০। চলমান হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫৭ হাজার ৯১০ জন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আরৌরি হত্যায় নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ
হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরির হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে লেবানন। অভিযোগে বলা হয়, আরৌরিকে হত্যায় ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েল। হামাসের এই নেতা গত মঙ্গলবার লেবাননের বৈরুতে হামলায় নিহত হন। যদিও ইসরায়েল এই দায় স্বীকার করেনি।
লেবাননে ইসরায়েলের হামলা
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল গতকাল একের পর এক বিমান হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর অবকাঠামো, যোদ্ধা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্র লক্ষ্য করে প্রায় ৭৫ মাইল সীমান্তজুড়ে হামলাগুলো চালানো হয়। ইসরায়েলের বিমানবাহিনী যুদ্ধবিমান থেকে আয়তা শাব ও মাজদাল জউন এলাকায় হামলা করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর অবকাঠামোর কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন, এমন এলাকাতেও হামলা হয়েছে।