বুধবার বেলা সোয়া ১টা। মোহাম্মদপুরের আসাদগেট হয়ে আজিমপুরে যাচ্ছিলেন একটি সরকারি কলেজের এক নারী শিক্ষিকা। এ সময় আশপাশের কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ঢাকায় সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যাচ্ছিলেন। বিশেষ নিরাপত্তার কারণে পুলিশ এভাবে রাস্তা বন্ধ করবে সেই ঘোষণা আগেই ছিল। তারপরও বিপত্তি বাধে। নিজের ব্যক্তিগত কাজে যেতে না পেরে পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ওই নারী।
এ সময় কয়েকবার পুলিশকে অনুরোধ করে গাড়ি ছাড়তে বলেন তিনি। পুলিশ গাড়ি যেতে না দিলে ক্ষিপ্ত হন ওই নারী। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে একটি সরকারি কলেজের প্রভাষক পরিচয় দিলেও নাম বলেননি। নিজের পরিচয় না বলায় তাঁর ছবি তুলতে গেলে এক পুলিশ কর্মকর্তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ওই নারী। একপর্যায়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফের মধ্যস্থতায় ওই নারী শান্ত হন এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত এসআই মো. মোবারক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিভিআইপি নিরাপত্তার কারণে আমরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। তাঁকে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় তিনি আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি আমার সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমি তাঁর নাম-পরিচয় জানতে চাইলে সেটিও বলেননি। পরে তাঁর ছবি তুলতে গেলে তিনি আমার মোবাইল কেড়ে নেন।’
নারী শিক্ষিকার গাড়িচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ম্যাডাম তাঁর কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। আমরা আসাদগেট থেকে ইউ টার্ন নিতে চেয়েছি। পুলিশ তার আগেই আটকে দিয়েছে। এ জন্য ম্যাডামের সঙ্গে পুলিশের কথা-কাটাকাটি হয়।’
পুলিশের বিধিনিষেধের কারণে এমন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কলেজগেট এলাকার সুমনা বেগমকে। তাঁর ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন সুমনা। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বলে জানান সুমনা।
গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম রাস্তাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের হাতে যথেষ্ট সময় রেখে বের হতে বলেন তিনি। মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে মানুষের ভিড় থাকায় রাস্তায় যানজট থাকবে এসবও জানিয়ে দেন। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে অসুবিধা হলে ৯৯৯-এ কল করে সাহায্য নিতে বলেছিলেন ডিএমপি কমিশনার।