বৃষ্টি হলেই ১০ গ্রামের হাজারো মানুষের কাঁদা পেরিয়ে পাকা সড়কে উঠতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও সংস্কারে এগিয়ে আসেন কোনো জনপ্রতিনিধি।
তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। শেষমেশ কেশবপুরের পাঁজিয়া বাজার সংলগ্ন সড়কটি সংস্কারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় একদল যুবক।
গতকাল বুধবার কিশোর দেবনাথ নামে এক যুবক নিজ অর্থায়নে কয়েকজন নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করেন।
জানা গেছে, পাঁজিয়া বাজার সংলগ্ন সড়কটি দিয়ে পাঁজিয়া, হদ, মাগুরখালি, মাস্টারপাড়া, নাথ পাড়াসহ ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি ইটের হলেও প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া কোথাও কোথাও ইটের চিহ্নও নেই। বৃষ্টি হলেই যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই সড়কের এই স্থানে হাঁটু কাঁদা হয়। কাঁদার মধ্যি দিয়ে লোকজন হাতে জুতা নিয়ে যাতায়াত করার সময় হুবড়ি (হুমড়ি) খায়ে পড়ে। এমনকি গাড়ি যাওয়ার সময় কাঁদার মধ্যি আটকে যায়।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার কিশোর দেবনাথ, অলোক দে, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজন বালু ও ইটের কুচি দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে দিচ্ছে। এতে যাতায়াতে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।’
স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার করা কিশোর দেবনাথ বলেন, ‘গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে এ সড়ক দিয়ে ১০ গ্রামের মানুষের কাঁদার ভেতর দিয়ে যাতায়াতে ভোগান্তি চোখে পড়ে। এলাকার কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে সকাল থেকে ভ্যানে করে বালু ও ইটের কুচি দিয়ে রাস্তা সংস্কার করছি। প্রায় ১৬০ ফুট সড়কের কাঁদা সরিয়ে বালি ও ইটের কুচি দিয়ে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের আরও বিভিন্ন স্থানে এভাবে সংস্কার করা হবে।’