আর এক দিন পরই বড়দিন। আগৈলঝাড়ায়ও উদ্যাপিত হবে উৎসবটি। খ্রিষ্ট ধর্মের মানুষেরা এ দিনটিকে উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উপজেলায় বড়দিন উপলক্ষে কচুরিপানার কাগজ দিয়ে সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর জিনিসসহ খেলনা তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রায় দু-হাজার দুস্থ ও বিধবা নারী।
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটি (এমসিসি) ও প্রকৃতি’র উদ্যোগে উপজেলার পাঁচটি কেন্দ্রের নারীরা পরিত্যক্ত ডোবা ও পুকুরের কচুরিপানা দিয়ে কাগজ বানিয়ে বানাচ্ছেন। তারপর ওই কাগজ দিয়ে তৈরি করছেন বড়দিনের সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর পণ্যসহ নানা উপহারসামগ্রী। ওই সংস্থার মাধ্যমে শৌখিন এসব খেলনা ও উপহারসামগ্রী ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
উপজেলার জোবারপার এন্টারপ্রাইজে গিয়ে কথা হয় ওই গ্রামের মনি বালার (৪৮) সঙ্গে।
মনি বালার মতো ওই এলাকার দুই হাজার অসহায় ও দুস্থ নারী এমসিসি’র আগৈলঝাড়ার ৫টি কেন্দ্রে কাজ করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। মনি বালা বলেন, ‘অভাবের সংসারে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচেছিলাম। দুই বছর আগে এমসিসি’র তত্ত্বাবধানে আমি কচুরিপানা দিয়ে কাগজ বানিয়ে বড়দিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বাহারি উপহার ও খেলনা সামগ্রী তৈরি করছি। এতে তিনবেলা ভাত খেতে পারছি।’
মনি বালার আরেক সঙ্গী বিনা হালদার ও শিউলী বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন একজন নারী শ্রমিকের এখানে ৩০০-৩৫০ টাকা আয় করছেন। ’
এমসিসি’র জোবারপাড় এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার পাপরী মন্ডল জানান, এখানে কাজ করা নারীদের মধ্যে অধিকাংশই স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, অসহায় ও দুস্থ।