শহরের অলিগলিতে ফেরি করে মাছ বিক্রি করে চার সদস্যের সংসার চালান রংপুরের গঙ্গচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামের তছলিম উদ্দিন। তাঁর বড় ছেলে মেহেরুল ইসলাম এবার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। এ খবরে প্রতিবেশীরা খুশি হলেও মলিন হয় মেহেরুল ও তাঁর বাবা তছলিম উদ্দিনের মুখ। চিন্তিত হয়ে পড়েন কীভাবে ভর্তি হবেন, কোথায় পাবেন লেখাপড়ার খরচের টাকা।
এমন সময় তাঁদের পশে দাঁড়ায় গঙ্গাচড়ার ইউএনও এরশাদ উদ্দিনের মানবিক সহায়তা বক্স। মেহেরুলের হাতে তুলে দেওয়া হয় মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা। বাবা-ছেলে মলিন মুখে ফোটে হাসি।
এমন অনেক অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন গঙ্গাচড়ার ইউএনওর গড়া সংগঠনটি। উপজেলার ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে কিনে দিয়েছেন নতুন রিকশা। এখন স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে এখন স্বচ্ছন্দে দিন কাটছে তাঁর। বড়বিল ইউনিয়নের ঘাঘটপাড়া গ্রামের বৃদ্ধা শহর বানুকে করে দেন টিনের ঘর।
মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া মেহেরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অভাবের সংসার। এ বছর আমি শজিমেকে ভর্তির সুযোগ পেলেও টাকা পয়সার অভাবে দুশ্চিন্তায় পড়ি। পরে ইউএনও স্যার প্রথমে ২০ হাজার টাকা ও পরে বই এবং কঙ্কাল কিনতে আরও ২৫ হাজার টাকা দেন এবং আমার পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নেন।’
ইউএনও এরশাদ উদ্দিন বলেন, ‘ময়মনসিংহের নান্দাইলে যোগদানের পর থেকেই এই মানবিক সহায়তা বক্সের যাত্রা শুরু। এরপর বদলি হয়ে গঙ্গাচড়ায় আসলে সেখানেও এই কার্যক্রম শুরু করি।
এখানে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহায়তা বক্সে টাকা দেন। সেই বক্সে মাস শেষে খোলা হয়। এরপর দরিদ্রদের যাচাই-বাছাই করে সহায়তা দেওয়া হয়।