যশোরের কেশবপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও কৃষ্ণপদ দাস সহযোদ্ধা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন একই সঙ্গে। ছিনিয়ে এনেছেন লাল–সবুজের পতাকা।
তাঁরা গতকাল মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে স্মৃতিচারণা করেছেন এ প্রজন্মের তরুণদের সামনে। আর যেখানে বসে এই স্মৃতিচারণা করেছেন সেখানেই ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের শক্ত ঘাঁটি।
স্মৃতিচারণামূলক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণপদ দাস বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ছিল পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের শক্ত ঘাঁটি। এখানে সে সময় মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সহায়তাকারী নিরীহ মানুষদের ধরে এনে টর্চার সেলে নির্মম নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনে অনেকে মারাও গেছেন। আবার অনেককে উপজেলার মঙ্গলকোট ব্রিজের মাথায় নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হতো। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৭ ডিসেম্বর কেশবপুরে প্রবেশকালে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা এখান থেকে পালিয়ে যায়।’
একই স্মৃতিচারণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। বক্তব্য দিতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার, অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমান, খেলাঘর আসরের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
এর আগে সকালে শিশু একাডেমির উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।