আমার লেখা নাটকের শুটিংয়ে আমি সাধারণত যাই না। লাভলু ভাই একদিন বললেন, সাকিন সারিসুরির কাকলী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নতুন একজনকে নিয়েছেন। আমি একটু চিন্তিত হলাম। ভাবছিলাম, এমন একটা চরিত্রে নতুন একজন মেয়ে, পারবে তো? মোশাররফের বিপরীতে এত বড় চরিত্র, বেশ রিস্ক ছিল। সীমানা যে নতুন অভিনেত্রী, স্ক্রিনে দেখে কিন্তু একদমই বোঝা গেল না।
এরপর আমার সঙ্গেও ওর বেশ কিছু কাজ হয়েছে, অসম্ভব গুণী একজন অভিনেত্রী ছিল সীমানা। ওর বিনয় আমাকে মুগ্ধ করত। সিনিয়র অভিনেতাদের সম্মান করত। সময় মেনে, নিয়ম মেনেই শুটিংয়ে আসত সে। আরও একটা বড় গুণ ছিল তার। সহজেই মন জয় করে নিতে জানত সবার।
অভিনেত্রী সীমানার মৃত্যু আমাকে স্তব্ধ করেছে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে, ‘কাকলী রুইতনের কাছে চলে গেল।’ লাইনটা শুনে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। আমার কলমেই তো রুইতনের মৃত্যু হয়, আর এখন সীমানার মৃত্যু কাকলীকে নিয়ে যাচ্ছে রুইতনের কাছে! একজন লেখকের কাছে এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে!
আচ্ছা, আমি যদি রুইতনকে না মারতাম, তাহলে কি কাকলী (সীমানা) বেঁচে থাকত? আসলে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো হয় না। তবে এতটুকু বলতে পারি, এত অল্প বয়সে সীমানার মৃত্যুটাকে মেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার।