ঘরোয়া লিগে ছেলেদের ম্যাচে প্রথম নারী সহকারী রেফারি তিনি। ঘরোয়া ফুটবলের সীমানা ছাড়িয়ে এবার আরেক ইতিহাস গড়েছেন সালমা আক্তার। দেশের প্রথম ‘এএফসি এলিট সহকারী রেফারি’ হয়েছেন তিনি।
গত ১৫-১৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় ‘এফসি এলিট প্যানেল রিক্রুটমেন্ট’ পরীক্ষা দেন সালমা। পরীক্ষায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক নারী রেফারি জয়া চাকমাও। জয়া ব্যর্থ হয়েছেন, তবে উতরে গেছেন সালমা। এর আগে দুবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় চেষ্টায় সফল সালমা। এখন থেকে এএফসির আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোয় আগামী এক বছরের জন্য রেফারিংয়ের সুযোগ পাবেন তিনি।
২০১৩ সালে রেফারিংয়ে হাতেখড়ি সালমার। ২০২১ সালে পান ফিফা সহকারী রেফারিংয়ের ব্যাচ। এখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ বলতে সাফে ১০ ম্যাচে সহকারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সাইডলাইনে। নিজের এই অর্জন নিয়ে যেমন আনন্দ আছে সালমার, আছে আক্ষেপও। একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক হিসেবে রেফারিংয়ের কাজটা চালিয়ে যাওয়া ভীষণ চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন এই রেফারি। তিনি বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। কিন্তু রেফারিং ধরে রাখাটা ভীষণ চ্যালেঞ্জের। সারা দিন স্কুলে চাকরি করার পর রাতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে হয়।’
এত পরিশ্রমের পর সালমাদের ম্যাচ ফি নামমাত্র। সাফে ম্যাচ হাতে গোনা কয়েকটি। এর বাইরে নারী লিগ, জেএফএ কাপে সহকারী রেফারি হিসেবে যে ম্যাচ ফি পান, সেটি উল্লেখ করার মতো নয়। তিনি বলেন, ‘নারী রেফারিরা তেমন সুযোগ-সুবিধা পায় না। তেমন কোনো পৃষ্ঠপোষকতাও নেই ।’