ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জেও সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ছিল হালকা বাতাস। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখেনি জেলাবাসী। এমন আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রিকশাচালক সুজাব হোসেন (৬০) বলেন, সংসারে স্ত্রী-সন্তানসহ সদস্য চারজন। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। সংসারে খরচও বেড়েছে। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতে হয়। এক দিন রিকশা না চালালে পেটে ভাত জোটাতে কষ্ট হয়ে যায়। সকাল থেকে বৃষ্টি। এ জন্য বাড়ি থেকে মানুষজন বের হচ্ছে না। যাত্রীর দেখাও মিলছে না।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হান্নান শেখের (৩৫) সঙ্গে গতকাল দুপুরে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একটা ভাড়া মারতে পারি নাই।’ সরেজমিন শহরের এম এ মতিন সড়কের কোর্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের রিকশাস্ট্যান্ডে মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেল।
রিকশা ও অটোরিকশাচালকদের মতো দুশ্চিন্তার কথা বললেন মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের শার্ট-প্যান্ট ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে মার্কেটে মানুষজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। দুপুর পর্যন্ত একজন ক্রেতাও আসেনি।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল সকাল থেকেই হালকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হতে পারে।