Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

দিনে-রাতে মাদকের আড্ডা

পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি

দিনে-রাতে মাদকের আড্ডা

মাদকে সয়লাব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। হাত বাড়ালেই মিলছে মরণনেশা ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। এ অঞ্চলে গাঁজা সহজলভ্য হওয়ায় এটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। স্বল্প মূল্যে গাঁজা পাওয়া যায় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায়।

জানা গেছে, ক্যাম্পাসে ইয়াবা সেবন আগের চেয়ে বেড়েছে। রাতে হলের বিভিন্ন কক্ষে, ছাদে ও মফিজ লেকে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলাতেও মাদকের আসর জমে। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এসব অপকর্ম।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবিদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এটা ওপেন সিক্রেট, সবাই জানেন। এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাঁজার ক্যাম্পাস বলে ট্রিকস করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদক সেবনের প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদালয়ে ইয়াবা কেনাবেচার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও বহিরাগতরা জড়িত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে বিভিন্ন পয়েন্টে মাদকের সরবরাহ চলছে। মেইন গেটের দোকানগুলো, মেস, শেখপাড়া বাজার ও ক্যাম্পাসের পাশের কিছু বাড়ি হয়ে উঠেছে মাদকের আস্তানা। সব সময় এসব স্থানে মাদক পাওয়া যাচ্ছে। আস্তানা গড়ে ওঠার পেছনে শেল্টার দিচ্ছেন একাধিক শিক্ষার্থী, স্থানীয় কিছু কর্মচারী ও বহিরাগতরা। এসব মাদকদ্রব্য ঝিনাইদহের মহেশপুর, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, কুষ্টিয়ার মিরপুর এবং যশোর সীমান্ত দিয়ে হাত বদল হয়ে ক্যাম্পাসে চলে আসে।

এদিকে ক্যাম্পাসে এসে অতিরিক্ত মাদক সেবন করে অনেক শিক্ষার্থীর ঠিকানা হয়েছে পুনর্বাসন কেন্দ্রে। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ‘পুনর্জন্ম’ মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে। 
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াবার বাজার একক নিয়ন্ত্রণ করছেন অধ্যয়নরত কিছু শিক্ষার্থী। গাঁজার অবাধ সরবরাহ করছেন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের স্থানীয় কিছু শিক্ষার্থী ও বহিরাগত কিছু লোক। তাঁদের নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর মাদকসেবীদের মুখে মুখে।

এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু তালহা আকাশ বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রসহ অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এখন মাদকাসক্ত। অথচ এক সময় তাঁরা সিগারেট পর্যন্ত হাতে নিতেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও মাদকের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার।’

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘মাদককে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব শঙ্কিত। এখনই প্রতিরোধ করা না হলে ভবিষ্যতে চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। আমি চাই না শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়ে উঠুক।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইবি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারি না।’ 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ