করোনার বিস্তার রোধ করার জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আগৈলঝাড়ায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩৭ জনের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৭৫ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া সম্পন্ন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এর মধ্যে শতকরা ৭৫ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১২-১৮ বছর বয়সী প্রথম ডোজ গ্রহণকারী পুরুষ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫৫ এবং নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৬৭১ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড টিকায়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে যে গতিতে টিকা কর্মসূচি চলছে তাতে ২৬ ফেব্রুয়ারির ‘বিশেষ ক্যাম্পেইন’ পর্যন্ত বাকি ৩৪ হাজার ৯০৫ জন মানুষ প্রথম ডোজের টিকা পেতে পারেন। ওই দিন শতভাগ টিকা দেওয়ার জন্য উপজেলার সব জায়গায় মাইকিং করা হবে এবং ব্যাপক প্রচার চালানো হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বখতিয়ার আল মামুন বলেন, ‘উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২১টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা হাসপাতালসহ প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিয়ে বসে থাকবেন। ওই দিন যিনি টিকা কেন্দ্রে যাবেন তাঁকেই টিকা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গণ টিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয় গত বছরের ৮ এপ্রিল। এরপর ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজের টিকা। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘ক্যাম্পেইনের’ মাধ্যমে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।