পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত পরিবার হিমশিম খাচ্ছে, তখনই তাঁদের জন্য ভর্তুকি দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে ‘পটুয়াখালীবাসী’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
পটুয়াখালী শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে ৬০ টাকা কেজি ছোলা বুট, ৪৫ টাকা চিড়া, ৬৫ টাকা চিনি, ৮০ টাকা মসুর ডাল ও ৮০ টাকা কেজিতে মুড়িসহ নিত্যপণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী সদস্যেরা। তাঁদের এই আয়োজনের নাম ‘মধ্যবিত্তের বাজার’। শুক্রবার সকাল থেকে সংগঠনটির নিজস্ব অর্থায়নে পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, পুরো রমজান মাসে এই প্রজেক্টের আওতায় প্রায় ১২০০ পরিবারের কাছে লোকসানে পণ্য বিক্রি করা হবে। আর পুরো প্যাকেজের দাম পড়বে ৩৩০ টাকা। বাজার থেকে সমপরিমাণ পণ্য কিনতে গেলে গুনতে হবে অন্তত ৪৬৫ টাকা। প্রতি পরিবার পাঁচ দিন পর পর একবার করে ছয়বার এই পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন। কেউ চাইলে সব একসঙ্গে না কিনে প্রয়োজনীয় পণ্য আলাদা করে নিতে পারবেন।
‘মধ্যবিত্তের বাজার’-এর ক্রেতা ইব্রাহিম বলেন, ‘আগের মতো আয়-উপার্জন নেই, করোনার পর থেকে আমাদের জীবন কেমন কাটছে তা আমরা জানি। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমার একটি মাত্র মেয়ের স্কুলের পড়াশোনা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। এর মধ্যে বাজারের যে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আমার উপার্জনের নাগালের বাইরে। এখানে এসে দেখেছি এই সংগঠনের সদস্যরা ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করছেন। বাজারের চেয়ে অনেক কম মূল্যে এখানে রমজানের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেলাম।’
পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের সদস্য সাবরিনা মেহজাবিন স্বর্ণা বলেন, ‘আমরা উদ্যোগ নিয়েছি রমজানের প্রথম থেকেই ভর্তুকি দিয়ে পণ্য বিক্রয় করব, যাতে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারে।’
সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘যেসব মানুষ ট্রাকের পেছনে দাঁড়াতে পারে না লজ্জায়, সেই শ্রেণির মানুষদের জন্য আমাদের এই ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রয়। রমজান মাসে যাতে সেহরি ও ইফতারি খেতে পারে রোজাদার ব্যক্তিরা, এই কথা মাথায় রেখেই আমরা পণ্য বিক্রয় করছি। পাইকারি দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করে কেনা দামে থেকেও ১৫ থেকে ২০ টাকা কম মূল্যে পণ্য বিক্রয় করছি।’