রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ১৫টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ছয় মাস ধরে বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এতে পরিবারগুলোর সদস্যরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর মালিপের বাজারসংলগ্ন নগরবন্দ গ্রামে।
রাস্তা বন্ধ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ১৩ জুলাই পরিবারগুলোর সদস্যদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নগরবন্দ গ্রামের আইয়ুব আলীর বাড়ি থেকে খেজামুদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩০০ গজ প্রশস্ত কাঁচা রাস্তা দিয়ে ২৫ বছর ধরে ১৫টি পরিবারের লোকজন যাতায়াত করছিলেন। ছয় মাস আগে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম সিরাজী এবং তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগম ও বোন আমিছা বেগম ওই রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে ওই ১৫টি পরিবারের লোকজন যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য, থানা-পুলিশ বেড়া তুলে দিতে বললেও তাঁরা তা তোলেননি।
অভিযোগকারী কহিনুর বেওয়া জানান, রাস্তাটি বন্ধ করায় তাঁরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ওই রাস্তায় তাঁদের কেনা দুই শতক জমি আছে। এরপরও এটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি দ্রুত রাস্তা থেকে বেড়া অপসারণে ইউএনওর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
আরেক অভিযোগকারী খেজা মাহামুদ বলেন, ‘২৫ বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এটি বন্ধের কারণে বাজার-ঘাটে যাতায়াত করতে পারছি না। কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে পারছি না। সন্তানদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে।’
জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে ফরিদা বেগম বলেন, ‘এ নিয়ে কী কথা বলব? আপনারা যা পারেন, তা-ই লিখে দেন।’
যোগাযোগ করা হলে ইউএনও এরশাদ উদ্দীন বলেন, ‘অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’