মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই সহোদরের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গাংনী প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত জাহারুল ইসলামের মেয়ে চম্পা খাতুন, প্রতিবেশী এনামুল হক, কামরুজ্জামান মন্টুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউপি নির্বাচনের আতিয়ারের বাহিনী যে সহিংসতা চালিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে খুন করেছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। যাতে আর কেউ কোনো দিন এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়।
বক্তারা বলেন, ‘তাঁরা যদি জামিনে বের হয়ে আসে তাহলে আবারও বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। তাঁদের মাধ্যমে এলাকা আরও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠবে।’
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গাংনীর কথুলী ইউপির লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৮ নভেম্বর দুই সদস্য প্রার্থী আজমাইন হোসেন টুটুল ও আতিয়ার রহামানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টুটুল গ্রুপের দুই সহোদর জাহারুল ইসলাম ও সাহাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সংঘর্ষে আহত হয় আরও ১৫ জন।
পরে ৯ নভেম্বর নিহত জাহারুল ইসলাম ও সাহাদুল ইসলামের ভাই লাল্টু বিশ্বাস বাদী হয়ে আতিয়ার রহমানকে প্রধান আসামি করে মোট ৬৬ জনের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।