Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

স্বপ্ন জয়ের সাক্ষী হলো রাজশাহী

রাজশাহী প্রতিনিধি

স্বপ্ন জয়ের সাক্ষী হলো রাজশাহী

পূরণ হলো পদ্মার বুকে সেতুর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন জয়ের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হয়েছে উত্তরের জেলা রাজশাহীও।

গতকাল শনিবার রাজশাহী মহানগরের তিনটি স্থানে সমাবেশ করে পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার মানুষের সমাবেশের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। আর নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া নগরীর অলকার মোড়ে সমবেত হন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর রাজশাহীর এই তিন অনুষ্ঠানেই মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী। এখানে পাঁচ মণ মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিজেই নেচে নেচে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন।

এদিকে সকালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রা শেষে সবাই দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বড় পর্দায় সেখানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়। পরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারাসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, জেলার পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ। আলাদা আলাদা শোভাযাত্রা নিয়ে তাঁরা স্টেডিয়ামে যান। প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখানে অতিথিরা বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা ওড়ান।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার জাফরউল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতীক। অনেক প্রশ্নের উত্তর এই পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ছিলেন বলেই দেশে পদ্মা সেতু হয়েছে। এই সেতু শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখবে। বাঙালি জাতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।

এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকালে রুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখের নেতৃত্বে বের করা হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি রুয়েট কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বড় পর্দায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ