এলাকার দরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে মাগুরার বেলনগরে জারবেরা ফুলের বাণিজ্যিক চাষ । বিদেশি জাতের এই ফুল মাগুরা থেকে যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন মাগুরার বিভিন্ন প্রান্তে বেকার যুবকেরা এটি করে নিজেদের এগিয়ে নিতে পারেন সহজে।
জারবেরা বিদেশি ফুল হলেও আমাদের দেশেও এর প্রচুর চাহিদা আছে। সূর্যমুখীর মতো দেখতে আমাদের দেশে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি কমলাসহ বেশ কয়েকটি রঙের জারবেরার চাষ হয়। সারা বছরই এই ফুল ফোটে।
সে বিষয়টি মাথায় রেখে মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর এলাকায় শুরু হয়েছে এ ফুলের চাষ। মাগুরা জেলায় এই প্রথম চাষ বেলনগরে। পাঁচ বছর আগে একটি বাগান পরীক্ষামূলক থাকলেও এখন তিনটি বাগান তৈরি হয়েছে। জারবেরা ফুল বাগানের যিনি উদ্যোক্তা মুরসালীন শুভ, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এটি একটি প্রজেক্ট হিসাবে আমি দাঁড় করাতে চেয়েছি। আমার ছোট ভাই মূলত এটি দেখাশোনা করে।
মুরসালীন আর ও জানান, এই ফুলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কারনিএটি দেখতে নানা রঙের এবং অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। আমাদের বাগানে দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি যা জারবেরা চাষের জন্য উপযুক্ত। মাগুরার মাটি ও জলবায়ু জারবেরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এটা আমরা তিনটি বাগান করে সফলতা পেয়েছি।
বাগানের ফুলগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ মাগুরাতেও বিক্রি হচ্ছে। হালকা ফুল ও অনেক দিন সতেজ থাকে বলে পরিবহনে ঝামেলা নেই। এ জন্য এটা দেশের নানা জায়গাতে যারা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তাঁরা কিন্তু বাগান বাড়িয়ে যাচ্ছে। আমার লক্ষ্য একটাই, আমার এলাকার বেকার তরুণ-তরুণেরাও কিংবা যে কেউ এটা উদ্যোগ নিতে পারে। তাদের আমার মত ভারতে যেতে হবে না চারা কিংবা পলিথিন কিনতে। আমাদের কাছে এলে আমরা শতভাগ সহযোগিতা করব। প্রচুর ফুল ধরে তাই ভালো দামে বিক্রি করা যায়। আমরা করোনার ভেতরেও টিকে আছি এ জন্য যে প্রতিদিন ফুল ফোটে। এখন ভালো বিক্রি হচ্ছে।