ঈশ্বরগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান ও একটি গুদাম পুড়ে গেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর বাজারের পৌর মহিলা সুপার মার্কেটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৩টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের গড়িমসির কারণে এমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন সহজে নেভানো যায়নি।
আনন্দ শু স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাঁর জুতার দোকান ও গোডাউনে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার জুতা ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর বিনিময় আঁতর হাউস অ্যান্ড বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁর দোকানে ৪৫-৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া হক শু স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল হক, আরিফ সু স্টোরের মো. এরশাদ মিয়া ও আলম সু স্টোরের জাহানারা বেগম জানান, তাঁদের প্রত্যেকের দোকানে ৯-১০ লাখ টাকার জুতা ছিল। সব পুড়ে গেছে।
মুক্তা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘১৪-১৫ লাখ টাকার পণ্য ছিল, সব পুড়ে গেছে। সব হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। পরে কয়েক শ গজ দূরের পাটবাজার মসজিদের পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
ইউএনও মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সহযোগিতার জন্য আবেদন করলে তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে।’