হোম > ছাপা সংস্করণ

জ্বরের প্রকোপ, টেস্টে অনীহা

আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঠান্ডার সঙ্গে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকের ফ্লু সেন্টারগুলোতে বাড়ছে রোগীর ভিড়। সর্দি, জ্বর ও কাশির ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলেও আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। করোনা পরীক্ষা বিনা মূল্যে করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শীতকালীন জ্বর, সর্দি ও কাশির সঙ্গে বর্তমান করোনাভাইরাসজনিত অসুস্থতার বেশ মিল থাকায় ঝুঁকি বাড়ছে। অনেকে জ্বর ও কাশিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করে আইসোলেশনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিষয় গুরুত্ব না দেওয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের তুলনামূলক বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহে ফকিরহাটে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। সংক্রমণের হার ছিল শতকরা ৩১ দশমিক ৪২। ফকিরহাটে এ পর্যন্ত ৯৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন।

করোনাভাইরাসের টিকা নিতে উপজেলার মানুষের মধ্যে যেমন তৎপরতা দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। ফলে উপজেলার প্রায় প্রতিটি ঘরে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রকোপ দেখা দেওয়ায় সচেতন মানুষদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ সুকুমার ভট্টাচার্যের দেওয়া তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে শুধু সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে ১ হাজার ৭৮৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যাঁদের অধিকাংশ বিভিন্ন ফ্লুজনিত রোগে ভুগছেন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বেশির ভাগ ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, হাঁপানি নিয়ে এসেছেন। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের রোগী বেশি দেখা গেছে।

এ ছাড়া উপজেলার আটটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র, ৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালেও অসংখ্য রোগী ঠান্ডাজনিত রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। আবার অনেক রোগী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে না গিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন।

গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি ফ্লু সেন্টারের বহির্বিভাগে চিকিৎসা এবং ওষুধ নিতে আসা রোগী সালমা বেগম, জমির আলী, রিনা খাতুন, বলরাম পোদ্দারসহ অনেকে জানান, এখানে এসে মাত্র তিন টাকা দিয়ে টিকিট কিনে ডাক্তার দেখিয়েছেন। জ্বর ও কাশির লক্ষণের কারণে ডাক্তার করোনা পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু করোনা পরীক্ষায় ১০০ টাকা লাগবে বলে বেশির ভাগ রোগী পরীক্ষা করাননি। নিরুপায় হয়ে সাধারণ সর্দি-কাশির ওষুধ নিয়ে তাঁরা বাড়ি যাচ্ছেন।

হাসপাতালে আসা রোগীদের ওষুধ দেওয়ার কাজে নিয়োজিত স্বপ্না অধিকারী বলেন, ‘প্যারাসিটামল, সেট্রিজিন, মন্টিলুকাস্ট, এমোক্সিসিলিন, এসিথ্রোমাইসিনসহ ঠান্ডাজনিত রোগের ওষুধের চাহিদা কয়েক গুণ বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র ঠান্ডায় ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। এর সঙ্গে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, উপসর্গ দেখা দিলে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা এবং ঠান্ডা লাগা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন