গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারে চার দিনে পাঁচটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতার ঘটনায় থানায় চারটি অভিযোগ দিয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থী। সহিংসতা প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ ওহাব খাঁন খোকা নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হন। পরে ২৬ অক্টোবর এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। একই দিনে রায়েদ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনা খাতুন মুনমুন নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ইউনিয়নের পুড়াবাজার এলাকায় বিপক্ষ দলের হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম আতাউর জামান বাবলু গত ২৭ অক্টোবর রাতে লোহাদী গ্ৰামের জলপাইতলা বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে হামলার শিকার হন।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই ২৮ অক্টোবর কাপাসিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেন। তার একদিন পরে নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেট ছিঁড়ে ফেলে ও পথসভায় বিঘ্ন সৃষ্টি করেন এবং বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার বিষয়ে তিনি ৩০ অক্টোবর আরেকটি অভিযোগ করেন। গত ৩০ অক্টোবর বিকেলে চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান নির্বাচনী প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাঁর সমর্থিত লোকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া ইয়াসমিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে ওই চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় স্থানীয় এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এ বিষয়ে গতকাল রোববার উপজেলার সব চেয়ারম্যানকে নিয়ে এক আলোচনা সভা করা হয়েছে। সভায় সকলকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার জন্য বলা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফএম নাসিম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। তবে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে যা মোটেও কাম্য নয়। আমরা অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’