Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

৩০ সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

৩০ সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ

ফেনীর সোনাগাজীতে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রায় ৩০টি সড়কের কাজ নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা। এদিকে সড়কের ধুলাবালুতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।

স্কুল-কলেজগামীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা দেখা যাচ্ছে। গণরোষ ঠেকাতে একাধিক সড়কে ট্যাংকভর্তি পানি ছিটিয়ে ধুলাবালু নিবারণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, কাজ বন্ধ রাখা সড়কগুলোর নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যে ঠিকাদারেরা কাজ শুরু করেছিলেন। অধিকাংশ সড়কে মেকাডম শেষ করে কার্পেটিং করার আগ মুহূর্তে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে চলেছে পাগলা ঘোড়ার মতো। উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচলের কারণে মেকাডম খসে লালচে আবরণ তৈরি হয়েছে। শত চেষ্টা করেও সড়কগুলোর পাশের ঘরবাড়িগুলো পরিষ্কার রাখা যাচ্ছে না।

জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে ঠিকাদারেরা বেশ কয়েকটি সড়কে পানি ছিটাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে ঠিকাদারেরা সব হারিয়ে পথে বসতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাশার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার আবুল বাশার বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর আকাশচুম্বী দামের কারণে লাভতো দূরের কথা ঠিকাদারেরা সহায় সম্বল বিক্রি করেও কাজ সম্পন্ন করতে পারবে না।

নিশ্বাসের সঙ্গে দেহে ঢুকছে লালচে বালি। কাশির সঙ্গে বের হচ্ছে লাল রঙের কফ। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভোয়াগ গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুকসহ বন্ধ রাখা সড়কগুলোর বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব সড়কের লালচে বালি দেহে ঢুকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ফজলুল হক বাবলু বলেন, নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ঠিকাদারদের পীঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী।

ঠিকাদারদের দাবি, ইট, বালি, পাথর, রড, সিমেন্ট, বিটুমিনসহ সব নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠেছে। কোনো কোনো পণ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তির মূল্যের দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রীর দাম স্থির না হয়ে আকাশচুম্বী হতে চলেছে। পণ্যের দামে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ। এসব নির্মাণ সামগ্রীতে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেলেও ঠিকাদারদের কম লোকসানের মাধ্যম নির্মাণকাজ শেষ করা যেত। কিন্তু দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারেরা উপান্ত না দেখে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় সড়কগুলোর নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছেন।

সালেহ আহম্মদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা জনভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সড়ক নির্মাণকাজ শুরু করেছি। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রীর আকাশচুম্বী দাম বৃদ্ধি আমাদের কার্যক্রম স্তম্ভিত করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। জনভোগান্তি দূর করতে হলে সরকারকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমরা বিষয়গুলো জানিয়েছি। পণ্যমূল্য পরিশোধ করতে ঠিকাদারদের ঘর-বাড়ি বিক্রি করেও কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন খান জনদুর্ভোগ ও ঠিকাদারদের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সড়কগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। জনগণের ভোগান্তি দূর করতে ঠিকাদারদের দিয়ে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ বন্ধ থাকা সড়কগুলোর নির্মাণ শুরু করার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। সোনাগাজী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এক যোগে প্রায় ৩০টি সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে। আর সব কটি সড়কেই মেকাডম করে ফেলে রাখা হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ