তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ২৫ জন। যাচাই-বাছাই পর্ব শেষে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৯ ইউনিয়নে মোট ৫৯ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে ৯ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৭ জন, জাকের পার্টির ৬ জন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ২ জন ও স্বতন্ত্র থেকে ৩৫ জন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন মনোনয়ন জমা দেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে। যাচাই-বাছাই পর্বে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। আর রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিদ্রোহী এক প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ২৫ বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন মোল্লাসহ আলমগীর হোসেন, কাজী মিরাজুল ইসলাম ও আজিজুর রহমান।
বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেন মণ্ডলসহ কাজী কামরুল ইসলাম, মাসুম রেজা, জিয়াউর রহমান ও সাইফুজ্জামান চৌধুরি (ভোলা)। রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপনসহ সাবেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন।
নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুল সরদার ও শওকত হোসেন।
ধলগ্রাম ইউপিতে আতিয়ার রহমান সরদার। দোহাকুলা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) অরুণ কুমার অধিকারী।
দরাজহাট ইউনিয়ন থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বাবলু, মোহাম্মাদ আলী, জেলা পরিষদ সদস্য ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা ফুলমিয়া।
বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার ও মিজানুর রহমান। জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম ও শামীম রেজা।
আর রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বাদ পড়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেলিম রেজা বাদশা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন, ‘যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নিবে।’
উল্লেখ্য, এ ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ নভেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ২৮ নভেম্বর।
