কেশবপুরে ধর্ষণচেষ্টা ও সহযোগিতার অভিযোগে চারজনের নামে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিখন কুমার সরকার।
মামলার আসামিরা হলেন কেশবপুরের গৌরীঘোনা ইউনিয়নের সন্ন্যাসগাছা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, জসিম সরদার, ভরতভায়না গ্রামের আবু সাঈদ সরদার ও কাশিমপুর গ্রামের রোস্তম আলী ফকির।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বেকার স্বামীর চাকরির জন্য তদবির করতে কবিরাজের খোঁজ করছিলেন ওই নারী। একপর্যায়ে পূর্বপরিচিত জসিম, সাঈদ ও রোস্তম তাঁকে সিরাজুলের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। গত বছরের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারী জসিমের ভ্যানে করে ঘোষপাড়া ডাঙ্গীর বিলের একটি টংঘরে যান। সিরাজুল সেখানে আগে থেকেই বসেছিলেন। এ সময় সিরাজুলকে কালী সাধক বলে পরিচয় করিয়ে দেন জসিম। পরে জসিম রাস্তার পাশে রাখা তাঁর ভ্যান দেখভালের কথা বলে বাইরে চলে যান। এরপর সিরাজুল ওই নারীকে সামনে রেখে মন্ত্র পড়তে থাকেন। একপর্যায়ে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় ওই নারী সাহায্যের জন্য চিৎকার দেন। এতে সিরাজুল পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী গত বছরের ২৩ নভেম্বর কেশবপুর থানায় ওই চারজনকে আসামি করে ধর্ষণচেষ্টা ও সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেন।
এ বিষয়ে এসআই লিখন কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণচেষ্টা ও সহায়তার ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আসামিরা জামিনে রয়েছেন।