চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার হজরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চবিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্ব পাশের রাস্তার অনেকাংশই পার্শ্ববর্তী পুকুরে দেবে গেছে। দুই বছর ধরে এই রাস্তা সংস্কার না করায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার হজরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চবিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্ব পাশের রাস্তাটি দেবে গিয়ে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিদ্যালয় ঘেঁষে এই রাস্তা পলাশপুর সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্টেশনের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। প্রায় দুই বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি দিয়ে হেঁটেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর।
রাস্তার অনেকাংশ পার্শ্ববর্তী পুকুরে দেবে গেছে। বেশ কয়েক দিন ধরে এ রাস্তাসংলগ্ন বিদ্যালয়ের দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙে পুকুরে পড়ে রয়েছে।। যার কারণে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তা।
এই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী দীপ্ত, নিলয় সরকার, তানিয়া আক্তার, পূজা, জান্নাত আক্তার, তামান্নসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার এই রাস্তা দিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাড়ি থেকে স্কুলে পৌঁছানো যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এক পাশ দেবে যাওয়ায় সবার দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হচ্ছে, যাতে করে সময় ও টাকা অপচয় হচ্ছে। তারপরও মাঝেমধ্যে স্বল্প সময়ের কারণে এই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি তাদের।
স্থানীয় অধিবাসী সঞ্জয়, নিমাই সরকার, হজরত আলী, বিলকিস আক্তারসহ একাধিক পথচারী জানান, প্রায়ই এই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ এই অংশে দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রীরা মনে করেন, এ যেন মরণফাঁদ। যেকোনো সময় মানুষের গাড়িসহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা অচিরেই পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটির পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন বলেন, বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার রাস্তাটির একটি অংশ পাশে পুকুর থাকায় একদিকে মাটি সরে গিয়ে হেলে পড়ে। হেলে পড়া স্থানটি পরিদর্শন করা হয়েছে। পুকুরের পাশে গাইড ওয়ালসহ অচিরেই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।