Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বেগম রোকেয়ায় শিক্ষকসংকট

সম্পাদকীয়

বেগম রোকেয়ায় শিক্ষকসংকট

শিক্ষকসংকট। হ্যাঁ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন ভুগছে শিক্ষকসংকটে। উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রাণের দাবি হিসেবে ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার রংপুরে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি (বেরোবি) প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি বারবার আলোচনার শিরোনাম হয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হয়েছে এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। আজকের পত্রিকায় শিক্ষকসংকটের কারণে শিক্ষকদের গবেষণা ব্যাহত হওয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ১৮৮ জন। এর মধ্যে শিক্ষাছুটিতে আছেন ২৮ জন শিক্ষক। মাত্র ১৬০ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। এই হিসাবে ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একজন শিক্ষক। ফলে অতিরিক্ত ক্লাস-পরীক্ষার চাপে গবেষণা কার্যক্রমে যথেষ্ট সময় দিতেন পারছেন না তাঁরা। ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রমও।

একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা ছিল উপাচার্যদের অনিয়ম-দুর্নীতি। এ পর্যন্ত পাঁচজন উপাচার্য পেয়েছে বেরোবি। তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় উপাচার্য আব্দুল জলিলের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে আলোচনায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। চতুর্থ উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর সময়ে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, তাঁর অফিস না করা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হয়েছে।

আমাদের দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নানা সংকটের মধ্যে চলছে। বেরোবির মতো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও বেশি সংকটের মধ্যে আছে; বিশেষ করে গবেষণায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা ভয়াবহ। বৈশ্বিক মানদণ্ডে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মান ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কয়েক বছর ধরে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এতেই বোঝা যায় আমাদের উচ্চশিক্ষার মান কতটা নিম্নমুখী।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনার জন্য আসেন। একটা পরিবারের কত স্বপ্ন থাকে তাদের সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষিত হবেন এবং পরিবারের সুনাম বয়ে আনবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর স্বপ্ন দেখতে ভুলে যান।

বর্তমানে বেরোবিতে শিক্ষকসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সামনে বহুবার শিক্ষক নিয়োগের প্রসঙ্গটি তুলে ধরা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে গত চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইউজিসির কাছে শিক্ষক চাওয়া হয়নি। তাই গাফিলতির দায় বিশ্ববিদ্যালয়ও এড়াতে পারে না। ইউজিসিও আগে কেন অবহেলা করেছে, সেটাও পরিষ্কার করতে হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জন শিক্ষার্থী মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তাঁরা সবাই শিক্ষক হওয়ার যোগ্য। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার রেওয়াজ আছে। কিন্তু বেরোবিতে মেধাবীরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেক দিন ধরে। সেটা বিস্ময়কর ব্যাপার!

বেরোবিতে শিক্ষকসংকটের আশু সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমান উপাচার্যের ভূমিকা গ্রহণের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। রাষ্ট্রকেও বেরোবির দিকে নজর দিতে হবে শিক্ষকদের গবেষণায় ফেরানোর জন্য।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ