আজ ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের ৩১ বছর পূর্ণ করে ৩২ বছরে পদার্পণ করল বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯৯১ সালের এদিন পথচলা শুরু হয় এ বিদ্যাপীঠের। প্রতিষ্ঠার পরই হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গে শিক্ষার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি গেজেটে খুবি প্রতিষ্ঠায় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়। তবে ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর ৪টি ডিসিপ্লিনের ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
১০৬ একরের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) বর্তমানে ৬টি স্কুল (অনুষদ) ও ২টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৬ হাজার ছাত্রছাত্রী এবং পাঁচ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন। বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট অধ্যাপক রয়েছেন ১৮০ জন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা এখন ১৭৪ জন। বর্তমানে প্রতি বছর ২৯টি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
২০২১ সালে এসেও যে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা যায় তার উদাহরণ হল খুবি। প্রতিষ্ঠার ৩২ বছরেও ঘটেনি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। খুন হতে হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ইমরান ইসলাম মামুন বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুই বছরে কখনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতার শিকার হইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও সব সময় রাজনীতি সচেতন। দাবি আদায় কিংবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে খুবি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তার বাস্তব উদাহরণ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বিদ্যমান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। অন্য সব প্রতিষ্ঠানে দিনের পর দিন মারামারি, হানাহানি, মিছিল মিটিং, মৃত্যুর খবর খবর শোনা যায়। সে তুলনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই কোনো ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি কখনো স্থান পায়নি। আর এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের ছাত্রদের সহায়তায়।’