চলছে মাঘ মাস, শীতর তীব্রতাও বেশ। এরই মধ্যেই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার অনেক আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। বাতাসে মুকুলের সুভাস ছড়িয়ে পড়ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে, বিশেষ করে উপজেলার গৈলা, বাকাল, রাজিহার, বাগধা ও রত্নপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আম গাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। এসব মুকুলে এখন মৌমাছির গুঞ্জন।
গৈলা গ্রামের আম গাছের মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগাম মুকুল দেখার পর থেকে মনটা ভালোই লাগছে। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়া ও জাতের কারণে মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই কিছু আম গাছে আগাম মুকুল আসে। ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়।
এদিকে, আমের মুকুলে চাষিরা খুশি হলেও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলছেন, পুরোপুরিভাবে শীত বিদায়ের আগেই আমের মুকুল আসা ভালো নয়। হঠাৎ ঘন কুয়াশা পড়লেই আগে আসা মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা ফলনেও প্রভাব ফেলবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বেশ কিছু এলাকায় আগাম মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ যে আবহাওয়াটা মুকুল হওয়ার জন্য দরকার সেটা আগেই পেয়েছে সে জন্য আগাম মুকুল এসেছে। এ ছাড়া আগাম জাতের গাছেও আগাম মুকুল আসে।