আগৈলঝাড়ায় একটি সেতুর রেলিং ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করছেন তাঁরা। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সেতুটি সংস্কারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের নিমাইর বাড়ি সংলগ্ন ও আব্দুল মান্নানের দোকানের পাশে খালের ওপর বিশ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বানানোর বছর দশেক পরেই সেতুর পাশের রেলিং ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অংশের ভেঙে রড বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ওই সেতু দিয়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন শত শত লোকজন চলাচল করছে। বিশেষ করে রাতে সেতু দিয়ে চলাচল বেশি বিপজ্জনক।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির দুপাশে রেলিং ভেঙে ও বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায় শিশু, বৃদ্ধ এমনকি রোগীদেরও এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এদিকে সেতুর নিচের বিমে মরিচা ধরে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা অমল রায় জানান, কৃষি মৌসুমে কয়েক শ একর জমির ফসল আনা-নেওয়া করা হয় এই ভাঙা সেতুটির ওপর দিয়ে। এতে কৃষকদের বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
চেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আহাদ তালুকদার বলেন, প্রায় বিশ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটির রেলিংয়ের ঢালাই ধসে গিয়ে রড বের হয়ে গেলেও সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
একই গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, সেতুটিতে মানুষ উঠলে কাঁপতে থাকে। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাথা ব্যথা নেই। কয়েক বছর যাবৎ শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে, কিন্তু সেই মেরামত আর হচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি বেহাল। পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।