রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মোকাম রাজবাড়ী আমলি আদালতে মামলা হয়। উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য অতুল চন্দ্র সরকার (৪০) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অতুল চন্দ্র সরকার পেশায় একজন দলিল লেখক। পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস পাংশা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি।
মামলায় আব্দুল আলীম মুন্সী, মো. জালাল মণ্ডল, শাকিল ওরফে সুজন, আরাফাত হোসেন রঙ্গিন, মো. উজির রাসেল, সিরাজুল ইসলাম মিঠু, আকমল হোসেন মোল্লা ও মো. শরিফসহ আরও আট-দশজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে জানা গেছে, মামলার আসামি মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস অতুল চন্দ্র সরকারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নিজের প্রাণ রক্ষার্থে তিন লাখ টাকা দেন। ১ নভেম্বর অতুল চন্দ্র সরকার পাংশা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তাঁর নিজ সেরেস্তায় দলিল লেখার কাজে এলে জালাল উদ্দিন বিশ্বাস তাঁর কাছে চাঁদার বাকি আট লাখ টাকা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে জালাল উদ্দিন বিশ্বাস ও তাঁর সঙ্গে থাকা আসামিরা অতুল চন্দ্র সরকার মারপিট করেন এবং তাঁর সেরেস্তার ড্রয়ার থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে চলে যান। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা অতুল চন্দ্র সরকারকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’