শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কেহুরভাংগা খাল রক্ষা বাঁধটি শত বছরের বেশি পুরোনো। কনেশ্বর ইউনিয়ন ও আশপাশের আরও ৫-৬টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করেছে এই বাঁধটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ১ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী এ রক্ষাবাঁধটি এ বছরের মধ্যে শেষ হলে এ অঞ্চলের মানুষ স্থায়ীভাবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কনেশ্বর এস সি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনের পাশ দিয়ে কেহুরভাংগা খালটি বয়ে গেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এ খালটির ডান তীরের অনেক ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের মুখে পড়ে বিলীন হয়ে যায়। বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হলেও খালপাড়ের সড়ক বিপর্যস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ ৫-৬টি ইউনিয়নের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে এখানে ২০১৯ সালে ৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করে পাউবো।
কনেশ্বর স্কুলের ছাত্র তামিম হাসান বলে, ‘বেড়িবাঁধটি নির্মিত হওয়ায় আমরা সুন্দরভাবে স্কুলে যেতে পারছি। এর আগে আমোদের অনেক রাস্তা ঘুরে তারপর স্কুলে আসতে হতো।’
কনেশ্বর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জুলাস বলেন, ‘তীর রক্ষা বাঁধ নির্মিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারছে। এর পাশাপাশি নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, ‘বাঁধটির কাজ ২০১৯ সালে ৩২০ মিটার ও ২০২১ সালে ২৯০ মিটার শেষ হয়েছে। কাজের বাকি অংশ এ বছর শেষ হবে বলে আশা করছি।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেহুরভাঙ্গা খালে ভাঙন দেখা দিলে, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করি। বাকি কাজ সম্পন্ন হলে এ বছর থেকে সম্পূর্ণ সুবিধা পাবেন এলাকাবাসী।’