Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ব্যবস্থাপনার অভাবে থামছে না পাহাড় ধস

সবুর শুভ, চট্টগ্রাম

ব্যবস্থাপনার অভাবে থামছে না পাহাড় ধস

পাহাড়ের বুক চিরে নির্মিত বায়েজিদ লিংক রোড। চট্টগ্রামে মাত্র ছয় কিলোমিটারের এই রাস্তা নির্মাণে নকশা বদল হয়েছে দুবার, ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ। ২৮ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ঠিকই; তবে এখনো আটকে আছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা। এ কারণে বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কে ধসে পড়ছে পাহাড়। সর্বশেষ গত শনিবারও অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ের অংশবিশেষ সড়কে ধসে পড়ে।

বায়েজিদ লিংক রোড নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ছোট-বড় ১৮টির মতো পাহাড় কাটা হয়েছে। তবে পাহাড়গুলো কাটা হয়েছে খাড়াভাবে, ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। এ কারণে বর্ষা এলেই সড়কের দুই পাশে থাকা উঁচু পাহাড়ের অংশবিশেষ বারবার ধসে পড়ে। সিডিএ বলছে, পাহাড়ধস ঠেকিয়ে সড়কটি নিরাপদ করতে প্রয়োজন পাহাড় ব্যবস্থাপনা। এ জন্য সড়কের দুই পাশে উঁচু পাহাড়ের মাথা ৩৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছেঁটে ফেলতে হবে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না পাওয়ায় কাজটি আটকে রয়েছে।

সিডিএ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেড় বছর আগে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য অনুমতি চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করে সিডিএ। সেই আবেদনে এখনো সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘পাহাড় ব্যবস্থাপনার কাজটা সম্পন্ন করতে আমরা দেড় বছর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। বর্তমানে আবেদনটি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আশা করছি, আগামী দেড় মাসের মধ্যে অনুমতি পাব। এতে করে স্থায়ীভাবে সুরক্ষিত হবে ওই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল।’ জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোনিয়া সুলতানা বলেন,‘বায়েজিদ লিংক রোড-সংলগ্ন পাহাড় ব্যবস্থাপনার অনুমতির বিষয়ে আমি আসলে খুব বেশি অবহিত নই। কারণ, আমি দায়িত্বে এসেছি বেশি দিন হয়নি।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্প হাতে নেয় সিডিএ। তখন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা। কিন্তু এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বারবার হোঁচট খায় সিডিএ। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নতুন করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

পাহাড়ের বুক চিরে নির্মিত বায়েজিদ লিংক রোড। বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কে ধসে পড়ছে পাহাড়। ছবি: আজকের পত্রিকাসড়কের নকশায়ও আনা হয় পরিবর্তন। দুই লেনের সেই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৭২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে এসে আবারও নকশায় পরিবর্তন হয়। এবার দুই লেনের পরিবর্তে চার লেনে উন্নীত করা হয়। ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩২০ কোটি টাকা। গত বছরের আগস্ট মাসে আরেক দফায় প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ৩৫৩ কোটি টাকা করা হয়। এর মধ্যে ৩৩ কোটি টাকা সিডিএর নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটিতে টোল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে সিডিএ।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর সহকারী প্রকৌশলী আসাদ বিন আনোয়ার জানান, চট্টগ্রাম শহরের অভ্যন্তরে যানজট নিরসন এবং ঢাকা অভিমুখী যানবাহনগুলোকে শহর থেকে বের হওয়ার জন্য সহজ রাস্তা করে দেওয়ার লক্ষ্যে হাতে নেওয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সিডিএ। দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছিল। এরপর আবার মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ