নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ। খেটে খাওয়া মানুষের বেড়েছে কষ্ট। বৃদ্ধ ও শিশুদের ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, গতকাল রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সকাল ১০টা পর্যন্ত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বিঘ্ন ঘটেছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। শীতে কাতর মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে; বিশেষ করে তিস্তার অববাহিকায় ২২টি চরের মানুষ শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে। গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে অসহায়। কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর শিশু ও বৃদ্ধদের। রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালে ছিন্নমূল মানুষ অতিকষ্টে শীত নিবারণ করছে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কনকনে ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে শীতকালীন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পেঁয়াজ, মরিচ ও বোরো ধানের বীজতলা শীত বা কুয়াশায় থেকে রক্ষা পেতে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানান জেলা কৃষি বিভাগ।
নীলফামারী শহরের রিকশাচালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে ঠান্ডার কারণে সকাল সকাল দোকানপাট খুলছে না। যেখানে দুপুরের আগে আমি দেড়-দুই শ টাকা ভাড়া পাই, এখন পঞ্চাশ টাকাও হাতে আসছে না।’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, উপজেলা পর্যায়ে তালিকা করে অসহায় মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। শীত মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার ১০০ শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।