পীরগঞ্জে নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) না মেলায় ইভিএমে (ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন) ভোট দিতে দেরি হয়েছে। বাড়িতে বঁটি আর ছুরি দিয়ে তরকারি কাটার কারণে আঙুলের ছাপ মেলানোয় সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেকটা সময় গড়িয়েছে ভোট নিতে।
গতকাল সোমবার ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পীরগঞ্জের বড় আলমপুর ও মিঠিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বড় আলমপুর ইউনিয়নের বাঁশপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পত্নী চড়া উচ্চবিদ্যালয়, রাজারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন তাঁরা। আঙুলের চাপ না মেলায় অনেকেই ভোট না দিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
বাঁশ পুকুরিয়া ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা জমিলা বেগম, নাজমিন বেগম, রীনা খাতুন জানান, ইভিএমে অনেক দেরি হয়। ব্যালট হলে তাড়াতাড়ি ভোট দিতে পারতেন বলে জানান তাঁরা। তাঁরা জানান, বটি দিয়ে তরকারি কাটার কারণে হাতের আঙুলের রেখা মিশে গেছে। এতে ছাপ নেওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের দুরামিঠিপুর দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় ১১ জন পুরুষও ভোট দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে বড় আলমপুর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘নারীদের হাতের ছাপ না মেলায় ভোটগ্রহণে দেরি হয়েছে। মা-বোনেরা বটি আর ছুরি দিয়ে তরকারি কাটার কারণে তাঁদের হাতের রেখা অনেকটা মিশে গেছে। যে কারণে ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেলায় অনেকে ভোটও দিতে পারেননি।’