হালকা কুয়াশা ভেজা অগ্রহায়ণের সকাল জানান দিচ্ছে শীতের। গ্রামাঞ্চলে একটু একটু করে বাড়ছে শীত। বাড়ছে লেপ-তোশকের কদর। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে তাই লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।
গত মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে লেপ-তোশকের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে কারিগরদের ব্যস্ততা। এসব দোকানে সাজানো আছে নানান আকারের তৈরি লেপ-তোশক। সেই সঙ্গে লেপ তোশক তৈরিও হচ্ছে।
এ সময় কথা হয় লেপ-তোশক ব্যবসায়ী ও কারিগর রহমত উল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত বছর করোনা ছিল। চাহিদা থাকলেও বিক্রি কম হয়েছে। তবে এ বছরের শীতের শুরু থেকেই বিক্রি বাড়ছে। আশা করছি পৌষ ও মাঘ মাসে আমাদের আশানুরূপ বিক্রি বাড়বে।’
লেপ তৈরি করতে আসা হাসান মিয়া বলেন, ‘কম্বল গায়ে দিলে লেপের মত আরাম লাগে না। তাই ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কার্পাস তুলা একটি লেপের অর্ডার দিয়েছি।’
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর একটি সিঙ্গেল লেপ বানাতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, সেমি-ডাবল লেপ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ডাবল লেপ তৈরিতে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর তোশক তৈরিতে খরচ নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।
বাজিতপুর বাজারে লেপ-তোশক কারিগর জুলু মিয়া বলেন, এটি একটি সিজনাল ব্যবসা। বছরের তিন মাস কাজ থাকে। বাকি সময় তেমন কাজ থাকে না। তখন অন্য করতে হয়।