মহাসড়ক ঘেঁষে শাকসবজি, ফলের দোকান। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ক্রেতারা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে কিনছেন পণ্য। পাশেই তিন চাকার যানে চলছে যাত্রী তোলা। ফলে দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যানবাহনকে চলতে হচ্ছে ধীরগতিতে। এতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল পৌর এলাকার সরকারি নজরুল কলেজের সামনে বাসস্ট্যান্ডে এই দৃশ্য প্রতিদিনের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই অস্থায়ী বাজারের কোনো অনুমোদন নেই। বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই বাজারের কলেবর এতো বাড়ে যে যানবাহন তো দূরের কথা, পথচারীদের হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়। ওভারব্রিজে ওঠানামার স্থানে এই বাজার বসায় ওভারব্রিজ ব্যবহারেও সমস্যা হচ্ছে।
বাজার করতে আসা স্থানীয় শফিকুল আলম বলেন, সপ্তাহের প্রতিদিনই দোকান বসে। এই মহাসড়কে দূরপাল্লার অনেক যানবাহন চলে। আবার অবৈধ তিন চাকার যান যাত্রী তোলে এখান থেকে। এ কারণে নির্বিঘ্নে হাঁটাও কষ্ট। এভাবে বাজার বসানোয় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
পঞ্চাশোর্ধ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই মোড় পাড়ি দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখানে রাস্তার পাশে বাজার থাকা ঠিক নয়।
পথচারী মো. ইমরান হোসেন বলেন, মহাসড়কের পাশে দোকান বসার কারণে দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। এ কারণে পথচারীদেরও চলতে কষ্ট হয়। তবুও কী আর করা।
বাজার ও তিন চাকার যানের স্ট্যান্ডের কারণে যানজটে থেমে থাকা একটি বাসের চালক সোহেল মিয়া বলেন, তরিতরকারি ও ফলের দোকান বসার কারণে মহাসড়ক সরু হয়ে গেছে। এ কারণেই এমন যানজট। সড়কের পাশ থেকে এসব দোকান সরিয়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বিক্রেতা মামুন, জয়, কামালসহ কয়েকজন জানান, মহাসড়কের ওপর বসে দোকানদারি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাঁরা বসছেন।
এ বিষয়ে ত্রিশাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সরকার বলেন, ‘আমাদের নির্দিষ্ট কাঁচাবাজার থাকা সত্ত্বেও লোকজন কে বা কাদের নির্দেশে মহাসড়কে দোকান নিয়ে বসে, তা আমার জানা নেই। উপজেলা প্রশাসন মহাসড়কের দুপাশ থেকে এসব দোকান উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে তাঁদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধ বাজারের জন্য স্বাভাবিক চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দোকানিদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁরা দ্রুত দোকান সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তাঁরা না সরলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে দ্রুতই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে।’