Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বান্দরবানে খারাপের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান

বান্দরবানে খারাপের  দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। গত এক সপ্তাহে ১৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে সদর উপজেলায় আক্রান্তের হার বেশি। এর পরেই রোয়াংছড়ি উপজেলা। চলতি বছরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি, ২৭১ জন ভর্তি হন। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর ঘটনা নেই।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ‍্যমতে, গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৯ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার এক দিনে ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী এই জেলার ডেঙ্গুকে ক্ল‍্যাসিকাল বা সাধারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘জেলায় ডেঙ্গু নিয়ে এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ‍্যা ৮০৫ জন। এর মধ‍্যে সদর উপজেলায় ২৭১, রোয়াংছড়িতে ২১৭, আলীকদমে ১৭০, রুমায় ৮৭, থানচিতে ৮৫, লামায় ১১ এবং নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলায় ৪ জন।

স্ব‍াস্থ‍্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক দিন যাবৎ ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এর আগে ১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ছিল ৬৫৫ জন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট আক্রান্ত ৮০৫ জনে দাঁড়ায়।

সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, ‘বান্দরবানে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক। বান্দরবানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ‍্যা ও হার দিন দিন বাড়তির দিকে। আক্রান্তের পর রোগীর প্লাজমা ছিদ্র করা ডেঙ্গুকে ভয়ংকর করছে।’

অবশ‍্য সিভিল সার্জন সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘বান্দরবানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত বেশি হলেও ভয়ের কারণ নেই। চিকিৎসা নিলে ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।’

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ‍্যা বেশি। আক্রান্তদের বেশির ভাগই নিজ বাসা বাড়িতে থেকে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, ‘মশা নিধনে পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্টদের আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এডিস মশার লার্ভা থেকে যেহেতু মশা জন্মায়, তাই ঘর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি তিন দিনের বেশি পানি পাত্রে রাখা যাবে না। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর এবং বাজার ও এলাকার নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।’

বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা সরকারি হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাসায় থেকে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদেরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন।’

তবে ডেঙ্গু রোধে বান্দরবান পৌরসভা থেকে এখনো মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো হয়নি। শিগগির এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ